প্রাণী রাক্ষুসে মাছ ও অবাঞ্ছিত প্রাণী দমনের জন্য বিভিন্ন ধরনের জৈব ও অজৈব বা রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু পেস্টিসাইড আছে যেগুলো প্রয়োগের ফলে মৃত মাছ খাওয়ার অনুপযাগেী হয়ে পড়ে এবং পুকুরের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাছাড়া এসব পেস্টিসাইডের বিষক্রিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ থাকে। এতে চিংড়ি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বারবার জাল টেনে মাছ ধরে ফেলা এবং পুকুর শুকানো সবচেয়ে ভাল। যদি পুকুর সম্পুর্ণরূপে শুকানো সম্ভব না হয় তবে সে ক্ষেত্রে জৈব পেস্টিসাইড হিসেবে রোটেনন, মহুয়ার খৈল, চা বীজ খৈল, তামাকের গুঁড়া প্রভৃতি ব্যবহার করা যায়। জৈব পেস্টিসাইড ব্যবহারে সুবিধাসমূহ নিচে দেয়া হলো-
জৈব পেস্টিসাইড প্রয়োগ মাত্রা: পুকুরের পানির আয়তন ও গভীরতা জেনে সুবিধামতো পেস্টিসাইড নির্বাচন করে নিম্নবর্ণিত ছক অনুযায়ী পরিমাণ জেনে নির্দেশিত উপায়ে পুকুরে প্রয়োগ করতে হবে। পানিতে জৈব পেস্টিসাইড ব্যবহারের মাত্রা-
পেস্টিসাইড | কেজি/হে/মি | কেজি/একর/মি | গ্রাম/শতক/মি | গ্রাম/ঘনমিটার | গ্রাম/ঘনফুট |
---|---|---|---|---|---|
১. রোটেনন | ২০-৩০ | ৮-১২ | ৮-১২ | ২-৩ | ০.০৭ |
২. চা বীজ খৈল | ৪০ | ১৬ | ১৬০ | ৪ | ০.১১ |
৩. তামাকের গুঁড়া | ২০০-৪০০ | ৮০-১৬০ | ৮০০-১৬০০ | ২০-৪০ | ০.৮৫ |
ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগ মাত্রা: মাছ ও অন্যান্য প্রাণী দমনের জন্য ৫ নিযুতাংশ হারে ক্লোরিন প্রয়োগ করা যায়। ব্লিচিং পাউডারে ৩০-৬০% ক্লোরিন থাকে। নিচে বর্ণিত ছক অনুযায়ী ব্লিচিং পাউডার পুকুরে প্রয়োগ করতে হবে।
পানির আয়তন (শতাংশ) | পানির গড় গভীরতা | পাউডারের পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ৩০ সেমি (১ ফুট) | ৯০০ গ্রাম |
১০ | ৩০ সেমি (১ ফুট) | ৯ কেজি |
৩৩ | ১.৫ মিটার (৫ ফুট) | ১৫০ কেজি |
৫০ | ১.৫ মিটার (৫ ফুট) | ২৫০ কেজি |
আরও দেখুন...